১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) প্রো-ভিসি প্রফেসর শেখ শরীফুল আলম।
বিলম্বে হাসপাতালে আহত ছাত্রদের দেখতে যাওয়া সম্পর্কে খুলনা গেজেটকে তিনি বলেন, “আসলে ২০শে ফেব্রুয়ারী সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজে কুয়েটের একটি ছেলে চিকিৎসারত অবস্থায় আছে জেনে আমি তাকে আমার দপ্তরের কর্মকর্তাসহ ছাত্রটির চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে যাই। যাওয়ার পর জানতে পারি কুয়েটের ২০২২ ব্যাচের একটি ছাত্র শাফি ১৮ই ফেব্রুয়ারী ন্যাক্কারজনক মারামারির ঘটনায় দা এর কোপে পিঠে মারাত্মক জখম হয় এবং তার পিঠে ৭টি সেলাই লাগে। যাওয়ার পর সার্জারি বিভাগের প্রধান ও ডিউটিরত ডাক্তার এর কাছে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিই। ডাক্তারের ভাষ্যমতে আগামী ১০ দিন পর সেলাই কাটা যাবে এবং তাকে ২০শে ফেব্রুয়ারী দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে। শাফি পরের দিন সকালের ট্রেনে তার বাড়ি টাঙ্গাইলে চলে যাবে। ডাক্তার আরও বলেন যে ১৯শে ফেব্রুয়ারী প্রায় ৭/৮ জন ছাত্র হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে চলে গিয়েছে। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি আমাদের আরো একটি ছাত্রের [সৌরভ, BECM ২২ ব্যাচ] ওই দিনের ঘটনায় হাতের হিউমেরাস সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাতে তিন টুকরা হয়ে গেছে এবং সে ঢাকায় চিকিৎসারত এবং তার বাড়ি পাবনাতে। উভয় ছাত্রকে আস্বস্ত করি যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করা হবে এবং এ ব্যাপারে একটি কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে”।
খুলনা গেজেট/লিপু